নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলায় ব্যবসায়িক লেনদেনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বরিশাল ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই ইউনিয়ন হলো- আলীনগর ও চরসামাইয়া। সংঘর্ষে আলীনগর ইউনিয়নের আহতরা হলেন- মো. ছালেম,ইউসুফ, মহিন হাওলাদার, নুর ইসলাম, মাসুম, সজিব ও আল আমিন। তাদের মধ্যে ছালেম ও ইউসুফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে চরসামাইয়া ইউনিয়নের আহতরা হলেন- ফেরদৌস, জুলু তালুকদার, হিরন হাওলাদার, সুমন ও বাবুল। তাদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাসিব ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক ফেরদৌস ও একই ইউনিয়নের স-মিল ব্যবসায়ী মো. আব্বাসের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ফেরদৌস স-মিল ব্যবসায়ী আব্বাসকে ফোন করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে ফেরদৌসের ম্যানেজার চরসামাইয়া ইউনিয়নের মো. পিন্টু ও আব্বাসের ম্যানেজার আলীনগর ইউনিয়নের মহিন হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাটির মিমাংসার জন্য বসার প্রস্তুতির একপর্যায়ে ওই দুই ইউনিয়নের শতাধিক বাসিন্দা দা, রড ও লাঠিসোঁটা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলীনগর ইউনিয়নের রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাসকে হুমকি ধামকি দেয়। এ ঘটনায় আজকে ফেরদৌসের ম্যানেজার পিন্টু আব্বাসের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করলে আব্বাসের সঙ্গে থাকা ম্যানেজার মহিন হাওলাদার প্রতিবাদ করেন।
মহিন প্রতিবাদ করায় তাকে তারা মারধর করে। পরবর্তীতে মহিনকে মারধরের খবর পার্শ্ববর্তী মাদরাসা বাজারে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করতে গেলে ফেরদৌস মেম্বারের লোকজন হাওলাদার বাড়ির সামনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন আহত হয়েছে।তাদের মধ্যে ২ জনকে বরিশাল নেওয়া হচ্ছে।
তবে উল্টো অভিযোগ করে চরসামাইয়ার পিন্টু বলেন, গত ২-৩ মাস ধরে বাকিতে স-মিল মালিক আব্বাস প্রতিদিন ফেরদৌস মেম্বারের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ডিজিটাল স্কেলে তার স-মিলের লাকড়ি ও ভূসির গাড়ির ওজন মাপ দেন।
আজকে ফোন দিয়ে বাকি টাকা চাওয়াতে আলীনগর ইউনিয়নের লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের ১০-১৫ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জুলু তালুকদারকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় ভোলা সদর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
https://slotbet.online/