• রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

প্রতিনিধি / ১৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থলে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে৷ গেট ভেঙে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন তারা। এরপর সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাদের বের করে দেওয়ার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও লাঠি হাতে ধাওয়া দেন পুলিশ ও এবিপিএনের সদস্যা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলমান৷ সংসদ ভবন এলাকায় সরজমিনে এসব চিত্র দেখা গেছে। এর আগে সকাল ১০টার পরে জুলাই যোদ্ধারা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে।

তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য দুপুর একটা পর্যন্ত পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে চায়৷ তবে তারা এতে রাজি হয় না। এরপর মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। বের হওয়ার পরে জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের ওপর চরাও হয়। খেজুরবাগান এলাকায় রাখা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ এরপর এমপি হোস্টেলের সামনে কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভকারী জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করে ফার্মগেট ও ধানমন্ডি আড়ংয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এসময় উভয়পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।

সংঘর্ষে থাকা জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দেওয়া আশিক শাহরিয়ার শাফি বলেন, `আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলাম। বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে সংসদ ভবন থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে। এখনো আমাদের ওপর পুলিশ হামলা চালাচ্ছে।’

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা হলে তারা দাবি করেন, পুলিশি অ্যাকশনে তাদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসার জন্য গেছে। ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা জিয়া উদ্যান ও ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান করছে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা আবার এক জোট হয়ে সংসদ ভবনের সামনে আসবে।

বেলা দুইটা ৫০ মিনিটে এই বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজার বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংসদ ভবনের সামনের অংশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশেপাশে তারা অবস্থান করছে। কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে। আমি একটা ক্ষুদ্র অংশ দেখছি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠে আছেন। তাই সার্বিকভাবে এখনো আমার একার পক্ষে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখনো অভিযান অব্যাহত আছে।’ গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো এই ব্যাপারে আমি কোনো কিছু জানি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত জানাব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/