উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতায় আখ চাষে সফল চাষীরা। দিন দিন আখ চাষে ঝুকঁছে অধিক চাষীরা।আখ,গ্যান্ডারী বা কুশোর, তাকে যে-নামেই নামকরণ করা হোকনা। এ আখ মিষ্টি ও সুস্বাদু। আখ বা আখের রস মানব দেহে বহুবিধ উপকারী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আখ ব্যাপক আখের চাষ হয়। তবে ইতিপূর্বে উজিরপুরে তেমনটা আখ চাষ হতোনা। বর্তমানে উজিরপুর উপজেলার হারতায় আখ চাষের প্রতি আস্থা যুগিয়েছেন চাষীরা। অধিক চাষীরা আখ চাষ করছে এবং সফলতা অর্জন করেছে। আখ মেশিনের মাধ্যমে ভেঙ্গে রশ থেকে গুড় ও চিনি তৈরী হয়।
আমরা এক এক রকম এর রশ খেতে পছন্দ করি। আমরা জানি আখের সবচাইতে বেশি ফলন ফরিদপুর চাঁদপুর সহ বৃহত্তর বরিশাল ও পিরোজপুর ছাড়াও বিভিন্ন জেলাতে হয়ে থাকে। কিন্তুু আমাদের দেশে বোম্বাই আখ, মিশ্রিদানা, খাগড়া,শগুন গ্যানি,লডাসহ সব মিলিয়ে আট থেকে দশ প্রকার আখ সম্পর্কে আমরা জেনে থাকি।
বৈশাখ মাসের শেষের দিকে আখ কাটা শুরু হয়। দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারতা,বিশারকান্দী, বৈঠাকাঠা,মনারপাড়, শোনাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আখ চাষ হচ্ছে। হারতা বাজার এলাকার আখচাষী ও ব্যবসায়ী মোঃ কামরুল মিয়াসহ একাধিক আখ চাষী ও ব্যবসায়ী জানান বুধবার বৃহত্তর হরতার হাট থেকে এভাবেই কয়েক মাস চলে আখের বেচা-কেনা।
কার্ত্তীক মাস থেকে এ বাজারেই শুরু হয় আখের চারা বা বিজ বিক্রি। হারতা কচা নদীর তীরে নৌকায় আখ বিক্রি হচ্ছে। নদীর তীরে অবস্থিত হারতা বাজার থেকে সরকার পাচ্ছে রাজস্ব। এদিকে হারতা থেকে পাইকারী আখ ক্রয় করার পর ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলাতে আখ বাজারজাত করেনে।
ব্যবসায়ী কামরুল বলেন বরিশাল জেলার হাট-বাজার ছাড়াও খুলনা,যশোর, বাগেরহাট,গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর,মাদারিপুর, ফরিদপুর,ঢাকা,চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে আমাদের বোম্বাই আখ পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এ বছর ভালো ফলন হয়েছে এবং দাম আশানুরূপ হওয়ায় আমরা বেজায় খুশি। এছাড়া হারতায় আখ চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেে একাধিক চাষীরা।
https://slotbet.online/