• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

বরিশালে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই কালভার্টে ফাটল

প্রতিনিধি / ৩৯ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ‎বরিশালের বাবুগঞ্জে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বক্স কালভার্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণে অনিয়ম এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কালভার্টটিতে ফাটল ধরেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বক্স কালভার্টের ফাটল বন্ধ করতে রাতের আঁধারে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছেন ঠিকাদারের লোকজন। তারপরও কয়েকটি স্থানে ফাটল এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও গাইড ওয়ালে ফাটল ও গাইড ওয়াল ভেঙে পরে যায়। ফাটলের স্থানে বালু, সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, জুন ক্লোজিং এর আগে একই ব্রিজে ১৬ মিলিমিটার রডের জায়গায় ১২ মিলিমিটার রড ব্যবহার করে রাতের আধাঁরে বেইজের কাজ হয়েছে।

বক্স কালভার্টের নির্মাণ কাজ রাতের আঁধারে হচ্ছে এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হলে সরেজমিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফারুক আহমেদ ও প্রকল্প, বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঠিকাদারকে দিনের বেলা জনসম্মুখে কাজ করার নির্দেশ দেয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ব্রিজটি (প্রায় ৪০ লাখ টাকায়) নির্মাণ কাজ পায় সালেহা কবির এন্টারপ্রাই নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজটি বাস্তবায়ন করছেন সব ঠিকাদার মনির হোসেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বক্স কালভার্টের ফাটল বন্ধ করতে রাতের আঁধারে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছেন ঠিকাদারের লোকজন। তারপরও কয়েকটি স্থানে ফাটল এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও গাইড ওয়ালে ফাটল ও গাইড ওয়াল ভেঙে পরে যায়। ফাটলের স্থানে বালু, সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা দফায় দফায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গাইড ওয়াল ভেঙে ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে বক্স কালভার্ট নির্মাণকালে তদারকি হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারী সালেহ কবির বলেন, সাব-ঠিকাদার মনির হোসেন গাইড ওয়াল নির্মাণের পর পর্যাপ্ত পানি না দেওয়ায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে গাইড ওয়ালটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

নির্মাণাধীন বক্স কালভার্টে ফাটলের কথা স্বীকার করে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সোহেল হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন বক্স কালভার্টে কাজের বিল এখনও ঠিকাদার পায়নি। ঠিকাদারকে নতুন করে গাইড ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/