নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোড়াকরি থেকে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্মীপুর মাইজহাটি সড়কটি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ৩ উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ। মানুষের ভোগান্তি কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো।
রোববার (১০ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁশের সাকোঁ। এ সাঁকো দিয়েই হেঁটে পারাপার হচ্ছে মানুষ। যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনেও বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহখানেক আগে ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হিরাই মিয়া গ্রামের কয়েকজন লোক নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাস্তার নিচ দিয়ে একটি পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পানির প্রবল স্রোতে রাস্তাটি মুহূর্তের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে যায়। ফলে লাখাই, নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমরা গাড়ি ব্যবহার করতে পারছি না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট বাচ্চারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। অনেকই পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হিরাই মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, ইঁদুরের গর্তের কারণে রাস্তাটি ভেঙেছে।পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন যে, পাইপ বসানোর সময়ই রাস্তাটি ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাবাসী পাইপ বসাতে গেলে পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী এহতেশামুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি ছাড়া যারা এমন কাজ করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাস্তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।
https://slotbet.online/