নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সেবা কার্যক্রম। নামজারীর পরিবর্তে অফিসের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে জীবন হারানোর শঙ্কায় থাকে সেবা নিতে আসা লোকজন ও সেবাদাতা কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অল্প বৃষ্টি হলেই ছাদ চুষে পানি পড়ে কাগজপত্র নষ্ট হওয়া এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অফিসের সামনের রাস্তা ডুবে ভূমি কার্যালয়ে পানি ঢুকে অফিসের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে কয়েকবার।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে নির্মিত এই ভূমি কার্যালয়টি ১৯৯০ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা উদ্বোধন করার পর ২৬ বছর বয়সেই ব্যবহারে সক্ষমতা হারিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি বারবার সংস্কার করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই জনদুর্ভোগ শেষ হবে বলে মনে করে না ভূমি সেবা গ্রহিতারা।
আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ভূমি সেবা নিতে আসা রাবেয়া বেগম, মাহফুজ আলম, শেখর দাসসহ অনেকেই। তারা আরো জানান, ভূমি অফিস রাজস্ব আয়ের প্রদান উৎস। এখানে সর্বক্ষণ সাধারণ মানুষ সেবা গ্রহণের জন্য আসে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য তাদের দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ বলেন, ‘গত সপ্তাহে ইউএনও স্যার ভূমি অফিসের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখার জন্য এলে আমার বসার টেবিলের উপরের ছাদে বড় ধরনের ফাটল দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে ছাদের নিচে থাকা মালামাল অপসারণ করে আমার টেবিল চেয়ার অন্য পাশে সরিয়ে বসতে বলেন। ওইদিন অফিস শেষে ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের নিচে থাকা মালামাল অপসারণ করে সিলিং ফ্যান চালু করার সাথে সাথে ছাদের ফাটল অংশ ভেঙ্গে। তবে ওই সময় আমিও অন্যরা ওই রুমের বাইরে ছিলাম।’
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা বলেন, নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।
https://slotbet.online/