• বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা নিহত: বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি / ৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনার আমতলীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বরিশাল-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসচাপায় মো. রেজাউল করিম (৩৮) নামের ইসলামী আন্দোলনের এক নেতা নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কর্মসূচি শেষ করে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাওয়ার পথে বাসচাপায় নিহত হন তিনি। নিহত রেজাউল করিম বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের মো. নুরুল হকের ছেলে। তিনি গুলিশাখালী ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুলিশাখালী ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কর্মসূচি পালন শেষে আমতলী শহর থেকে মোটরসাইকেলে সন্ধ্যা ৬টায় বরিশাল-কুয়াকাটার আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।

ঘটখালী ব্রিজের কাছে গেলে ঢাকাগামী ছন্দা পরিবহন নামের একটি বাস রেজাউল করিমের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে নেতাকর্মীরা ঘাতক বাসচালক ও হেলপারকে আটকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা তাদের ফিরিয়ে দেন।

সড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ বিষয়ে কোনও সমাধান না পেয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) মরদেহ দাফন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পুনরায় বরিশাল-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এতে সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা গাড়িতে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার সড়ক বন্ধ হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সহকর্মী রেজাউল করিমকে হারিয়েছি। চালক, হেলপারকে আটক করতে হবে।

যতক্ষণে নিহত রেজাউল করিমের পরিবারকে ওই বাস কোম্পানি ক্ষতিপূরণ না দেবে ততক্ষণে আমরা এই মরদেহ দাফন করবো না। পাশাপাশি আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’ আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আসছেন। তাদের নিয়ে বৈঠক চলছে। আশা করি সমাধান হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/