• রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

লাশ আটকে সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারা, ২৪ ঘণ্টা পর দাফন

প্রতিনিধি / ১৩৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনের আগে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার সুন্দরপুর ইউপির বড় মরাপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।

মৃত ব্যক্তির নাম মাজেদ বিশ্বাস (৫০)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর ১০ সন্তানের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বর্তমানে জীবিত সাত সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও তিন ছেলে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় ২০ বছর আগে মাজেদ হামফুল বেগমকে বিয়ে করেন, যার কোনো সন্তান নেই। হামফুল মাজেদের ছোট সন্তানদের যত্নে বড় করেন। মাজেদের দুই ছেলে লতিফুর রহমান ও আবদুল জাব্বার পুলিশে চাকরি করেন।

গত ছয় মাস ধরে মাজেদ অসুস্থ থাকায় তার দুই ছেলে চিকিৎসার কথা বলে তাকে অন্যত্র নিয়ে যান এবং বাবার সম্পত্তি নিজেদের ও এক ভাতিজার নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এ ছাড়া, গত ১৬ এপ্রিল মাজেদের নামে হামফুল বেগমের কাছে একটি তালাকনামা পাঠানো হয়, যা তিনি গ্রহণ করেননি। এ নিয়ে হামফুল ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন, এবং ৫ মে সালিশের দিন নির্ধারিত হয়।

এর মধ্যে মাজেদের মৃত্যু হলে তার দুই ছেলে মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসেন। কিন্তু হামফুল বেগম স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দাফনে বাধা দেন। সোমবার সকাল ও বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুই দফা সালিশে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সম্পত্তি অংশীদারদের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মরদেহ দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে লতিফুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ টিম পাঠিয়েছিলাম। সালিশে মীমাংসা হয়ে লাশ দাফনের কথা জেনেছি। অভিযুক্ত দুই ছেলের পুলিশে চাকরির কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/