• মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

পিরোজপুরে শিশুসহ একই পরিবারের ৮ জনকে অচেতন করে চুরি

প্রতিনিধি / ৮৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শিশুসহ একই পরিবারের আটজনকে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আটজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সোমবার দিবাগত রাতে সেহরি শেষে এ ঘটনার শিকার হন তাঁরা অচেতন ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ব্যাপারী (৬০), তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে বাহাউদ্দীন হোসাইন ব্যাপারী (২৬), মেয়ে নাজমুন্নাহার বেগম (২৭) ও নাজমুন্নাহার বেগমের ছেলে রিফাত ফরাজী (৬)। তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসা বাহাউদ্দীনের নানা শ্বশুর সেকেন্দার আলী মোল্লা (৭৫) এবং রেদোয়ান ইসলামসহ ৮ জন। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর ভোররাত ৩টা ৪৫-এর দিকে তাঁরা সবাই সেহরির খেতে ঘুম থেকে ওঠে। এ সময় পরিবারের একজন বাদে সবাই সেহরির খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসা সেকেন্দার আলী মোল্লা সেহরি খেয়ে নিজের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পথে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

অপর দিকে পরিবারের যিনি সেহরি না খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে ঘরের সবকিছু এলোমেলো এবং সবাইকে অচেতন অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে অচেতন সদস্যদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জেলা হাসপাতালে জ্ঞান ফেরা বাহাউদ্দীন হোসাইন ব্যাপারী বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমার ছোট ভাই সালাউদ্দিন ব্যাপারীকে (১২) টাকার দাবিতে পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে স্থানীয় সোহান, রাজিন, বায়জিদ, মারুফ, নাইম ও বেল্লাল। তাদের সঙ্গে আমাদের আদালতে মামলা চলছে। আমার ধারণা, তারা আমাদের অচেতন করে ঘরে থাকা সোনা দানা ও টাকাপয়সা এবং মামলার কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই কাজ করতে পারে।’

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরঞ্জিত সাহা বলেন, তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাঁদের অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না এবং পরিবারের কেউ বলতে পারছেন না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তাঁদের অচেতন করা হয়েছে। ইন্দুরকানী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/