মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের হাজীর হাট এলাকায় দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে এক তরমুজ চাষিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত তরমুজ চাষিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ভরিপাশা গ্রামের হাজির হাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভরিপাশা গ্রামের জুয়েল মীর হাজীর হাটের পূর্ব পাশে প্রায় এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ ক্ষেত দেখভাল করতেন জুয়েল মীরের বড় ভাই বাচ্চু মীর। ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ কাটতে গেলে একই এলাকার আলমগীর গাজীর দুই ছেলে জাহিদুল (৩০) ও জামাল (২৮) তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তরমুজ কাটতে বারন করা হয়।
এক পর্যায়ে গত ১৯ মার্চ রাতে জাহিদুল ও জামালকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করেন তারা। গত ২৩ মার্চ রোববার বিকালে বাচ্চু মীর লোকজন নিয়ে পাকা তরমুজ কাটতে গেলে জাহিদুল ও জামাল ফের বাঁধা দেয়। তারা বাকী টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তরমুজ কাটতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এক পর্যায়ে জাহিদুল ও জামাল দলবল নিয়ে বাচ্চু মীরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তারা বাচ্চু মীরের কাছে থাকা অগ্রিম তরমুজ বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়। ঘটনার পর জুয়েল মীরের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে জাহিদুল ও জামালসহ ৫জনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টির তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। ঘটনার পর থেকে জাহিদুল ও জামাল পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ রকম আরো সংবাদ...