• শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

আ. লীগ নেতাকে না ছাড়ায় ওসিকে বদলির হুমকি যুবদল নেতার!

প্রতিনিধি / ৩৪ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামিকে ছেড়ে না দেয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির হুমকি দিয়েছেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান। তবে যুবদল নেতার দাবি, ওসির অভিযোগ সঠিক নয়। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত ১৬ মার্চ রাতে বেনুয়ারচর সরদার গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন বেনুয়ারচর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মিষ্টার আলী।

রাত ২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর পুলিশকে ফোন করে আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন যুবদল নেতা মলিন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ভোরের দিকে ঘটনাস্থলে যান ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ।

এ সময় যুবদল নেতা মলিন গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে ওসিকে ফোন করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে বদলি করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. সামছুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টার দিকে আব্দুল খালেককে আটক করি।

যুবদল নেতা মলিন মোবাইল ফোনে আসামি আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আমি জানালে ঘটনাস্থলে ওসি স্যার গিয়ে আসামিকে থানায় আনেন।’

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে পুলিশ আটক করে। আব্দুল খালেক ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৪৭ নম্বর সদস্য।

তাঁকে ছাড়াতে বেআইনি তদবির করেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। পরে আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে যাই। এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হবে না জানালে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন যুবদল নেতা মলিন। একপর্যায়ে তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব স্যারের কাছে গিয়ে আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেবেন বলে হুমকি দেন।’

জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মলিন বলেন, ‘আমি ওসি সাহেবকে বদলির হুমকি দিইনি। এটা প্রমাণ করতে পারবেন না তিনি। মূলত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচার করা হচ্ছে।

নৌকা প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যানেরাসহ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করছেন না ওসি। এ নিয়ে কথা বলায় ওসি সাহেব আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন।’

মামলার বাদী মিষ্টার আলী বলেন, মারামারির ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছি। ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওসিকে বদলির হুমকির বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এইমাত্র শুনলাম। কাউকে বদলির হুমকি দেয়া শিশুসুলভ আচরণ। আমরা কাউকে এ রকম হুমকি দেয়ার এখতিয়ার রাখি না। পাল্টাপাল্টি অভিযোগও শুভ নয়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/