• মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

শনিবার থেকে ২ মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

প্রতিনিধি / ৫৩ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত অর্থাৎ শনিবার (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুমাস জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

নিষিদ্ধ সময়ে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলে সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবে।

দুই মাসের এ জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ী, বড় স্টেশন মোলহেড, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও আখনের হাট জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকে তাদের জালগুলো মেরামতের কাজ করছেন।

বহরিয়া এলাকার জেলে শাহাজাহান ব্যাপারী বলেন, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তবে এটি বাস্তবায়ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও তৎপর হতে হবে। আমরা জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির জেলে জাটকা নিধন করে।

হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নানা কারণে নদীতে ইলিশের বিচরণ কমেছে। সবার সহযোগিতায় যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত চাল এসেছে। এসব জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে (বিজিএফ) চাল চার মাস বিতরণ করা হয়।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাটকা সংরক্ষণ চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌপুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন ও রাতে কাজ করবে। কোনো জেলে আইন অমান্য করে জাটকা ধরলে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলেদের সঙ্গে কথা বলে সতর্ক করে দিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/