নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল নগরীতে আ’লীগের দোসর, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা পরিচয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মাকে একটি চক্র উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে!
নগরীর জেলা পরিষদের সামনে রাস্তার পাশে এক নারী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে চা বিক্রয় করে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মায়ের কথা।
তিনি বলেন, প্রায়ই এক যুগ ধরে নগর ভবন সংলগ্ন এলাকায় তার স্বামী চা বিক্রি করে আসেন। কিন্তু ২০১৫ সালে তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাহীন অবস্থায় মারা যায়।
এই অভাবী সংসারে সন্তানকে সুশিক্ষায় -শিক্ষিত করার জন্য নিজেই জীবন যুদ্ধে রাস্তার পাসে থাকা স্বামী’র দোকানে চা বিক্রি শুরু করে দেয়। কিন্তু গত (৫ আগষ্ট) স্বৈরাচার সরকার পতনের পড়েও স্থানীয় মহানগরের একটি ওয়ার্ড আ’ লীগ নেতার পরিচয় ও বর্তমানে বিএনপির ভাবমূর্তী নষ্ট করতে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা পরিচয় ঐ চা বিক্রেতা নারীর দোকান উচ্ছেদ করতে লাল নকশা তৈরি করছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আ’লীগ নেতা পরিচয় স্থানীয় কিছু দোকান্দার আমার দোকানে চা,সিগারেট,পান,খেয়ে যায়। আমি এদের কাছে টাকা চাইতে গেলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ প্রস্তাব ও এখানে আমি কিভাবে দোকান করি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি গরীর মানুষ দু’টি ছেলে সন্তানকে এই চায়ের দোকানের টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা করাই।
কিন্তু এখানে আমি যেনো দোকান করতে না পারি তার জন্য স্থানীয় দোকান্দা নিজে ও বাহিরের বিভিন্ন লোকজ দিয়ে আমাকে অমানুষিক অত্যাচার করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, গত (৫আগষ্ট বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকার পতন হলেও দেশে তার লেজ রেখে গিয়েছে। নিজেদের আখের কায়েম করতে বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করতে লেগে রয়েছে।
আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যে এই দোকান যদি ভেঙে বা সরিয়ে দেওয়া হয়,তাহলে আমার ছেলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা এত কষ্ট করে স্বৈরাচার সরকার পতন করিয়াছে। আর আমি সেই শিক্ষার্থীর মা হয়ে অত্যাচারে বিভিন্ন দুয়ারে ঘুরছি।
এবিষয় মহানগর ও জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ আছে যে আ’ লীগের কোনো লোকজন বিএনপিতে আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকারের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করলে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন। অথবা যদি আমাদের কোনো হেল্প প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ভুক্তভোগীর পাশে আছি।
এই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সন্তানের জননী ও স্থানীয় দোকানদারের নাম প্রকাশ করা হয়নি। যদি পরবর্তীতে প্রয়োজন হয় তাদের নাম পদ পদবীসহ প্রকাশ করা হবে।
https://slotbet.online/