• বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

বরিশালে চরের খাসজমিতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ

প্রতিনিধি / ১১০ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: জেলার হিজলা উপজেলায় চরের খাসজমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। চরের মধ্যে এ স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় ক্রীড়াবিদ ও প্রেমীদের কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের একতা বাজার সংলগ্ন চরে ২০২৩ সালে শুরু হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ। ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওই স্টেডিয়ামে তিনশ’ ফুট গ্যালারি ও চারতলা প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ করা হবে।

এখানে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা যাবে। স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে মের্সাস নুরজাহান কনস্ট্রাকশন। হিজলা উপজেলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চরের মধ্যে নদীতীরে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্টেডিয়ামের ১০ ফুট দূরত্বে খাল ও নদী। নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্টেডিয়ামের মাঠ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জমিতে নির্মাণ করা ওই স্টেডিয়াম ক্রীড়া প্রেমীদের কোন কাজেই আসবে না।

তারা আরও জানিয়েছেন, উপজেলা সদর থেকে ওই স্টেডিয়ামে যেতে নদীপথ ছাড়া যোগাযোগের কোন উপায় নেই। নদীপথেও আধা ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। যার কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা স্টেডিয়াম পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিজলা উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত স্টেডিয়ামটি কোনো কাজে লাগবে না। কারণ মেঘনা নদীর যেস্থানে স্টেডিয়ামটি নির্মান করা হয়েছে সেখানে জনবসতি নেই।

ভবিষ্যতে হবেও না। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসসহ সরকারি দিবস পালনেরও কোনো কর্মসূচি আয়োজন করা যাবেনা। কারণ নদীপথে ওই স্টেডিয়ামে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই।

হিজলা উপজেলার ক্রীড়াবিদ দেওয়ান সালাউদ্দিন রিমন বলেন, বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ টাকা কামানোর জন্য তাড়াহুড়া করে চরে গিয়ে স্টেডিয়াম করেছেন।

উপজেলা সদর থেকে নদী পার হয়ে ওই স্টেডিয়ামে গিয়ে কারা খেলবে। হিজলা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবু হাওলাদার বলেন, উপজেলা সদরে স্টেডিয়াম করার জন্য কেউ জমি ওদয়নি। তাই একতা বাজার সংলগ্ন চরের খাসজমিতে স্টেডিয়াম করা হচ্ছে।

তা না হলে স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ অর্থ চলে যেতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কয়েকবার গিয়ে নির্মাণকাজ দেখে এসেছি। বর্তমানে স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যখন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তখন জমি অধিগ্রহণের সুযোগ ছিলোনা। তাই খাসজমিতে স্টেডিয়াম নির্মান করা হয়েছে। হিজলা সদরের আশপাশে কোনো খাসজমি নেই। তাই একতা বাজার সংলগ্ন চরের খাসজমিতে বাধ্য হয়ে স্টেডিয়াম নির্মান করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/