নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ট্রেজারারকে যোগদানে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের তোপের মুখে যোগদান না করেই ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন নবনিযুক্ত ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল।
তিনি জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ট্রেজারারকে গ্রাউন্ডফ্লোরে আটকে রাখেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে যোগদানে বাধা দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই মোস্তফা কামাল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন যার তথ্য-প্রমাণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এমন দুর্নীতিগ্রস্থ লোককে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে দেখতে চায় না।
এছাড়া তারা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোস্তফা কামালকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করে এই ‘বিতর্কিত লোককে’ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার কারণ দর্শানোর দাবিও তুলেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, “একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া ট্রেজারার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বৈরাচারের দোসর কলিমুল্লাহর সহযোগী। মূলত কলিমুল্লাহর ব্যক্তি স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্যই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
“শিক্ষার্থীরা কোনো স্বৈরাচারের দোসরকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে নবনিযুক্ত ট্রেজারার যোগদান না করেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। ”
এর আগে মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
https://slotbet.online/