• রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

সময় এসে গেছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরব : তারেক রহমান

প্রতিনিধি / ১৯ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: খুব দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিছু সংগত কারণে এখনো দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি, তবে সময় এসে গেছে। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগির দেশে ফিরব।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব বিবিসি বাংলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে দেশে ফেরার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক।

কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকবো? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সঙ্গে জনগণের মাঝেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।

জুলাই আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আমাকে কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। জুলাই আন্দোলন বলে যেটি বিখ্যাত বা যেটি সবার কাছে গৃহীত এই আন্দোলনটি সফল হয়েছে জুলাই মাসে। কিন্তু এই আন্দোলনটি প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে কিন্তু বহু বছর আগে থেকে।

তারেক রহমান আরও বলেন, এই আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনে জনগণ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। সেদিন শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই মাঠে ছিল না। আমরা দেখেছি সেদিন মাদ্রাসাছাত্ররা ছিলেন আন্দোলনের মাঠে।

আমরা দেখেছি গৃহিনীরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে এসেছেন সন্তানের পেছনে। কৃষক, শ্রমিক, সিএনজিচালক, ছোট দোকান কর্মচারী বা দোকান মালিক থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মীরাও নেমে এসেছিলেন। আমরা দেখেছিলাম সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরাও নেমে এসেছিলেন এই আন্দোলনে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অনেক সাংবাদিক- যারা স্বৈরাচারের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এই আন্দোলনে। ফলে কারো ভূমিকাকেই আমরা ছোট করে দেখতে চাই না। সমাজের দল মত নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের অবদান আছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। কোনো দল বা কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/