• বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন

হাজতে সিগারেট হাতে মোবাইলে কথা বলছেন বিএনপির সাবেক নেতা

প্রতিনিধি / ৩৪ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক বিএনপি নেতা লিটন হাওলাদারকে থানার ভেতর খাট, তোষক, সিগারেট, মোবাইলসহ বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে।

এমন ঘটনার বেশ কিছু ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতা নিয়ে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, একটি সিআর মামলায় এক বছর দুই মাস সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিটন হাওলাদার (৪৮)। ওই মামলার আসামি হিসেবে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম।

তবে তাকে অন্যান্য আসামিদের থেকে আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থানার একটি কক্ষে রাখা হয়। পরের দিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে তাকে হাজতে বিশেষ সুবিধায় রাখা বেশ কিছু ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে গণমাধ্যমের হাতে চলে আসে। ছবিগুলোতে দেখা যায়, লিটন হাওলাদার নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, গ্রেপ্তার হওয়া লিটন হাওলাদারের থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে হাজতের মধ্যেই ব্যারাক থেকে আনা খাট, তোষক ও বালিশের ভিআইপি বিছানা করে দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে কথা বলারও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

সেখানে থাকা একটি খাটে তিনি আয়েশী ভঙ্গিতে সিগারেট হাতে নিয়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এমন অবস্থায় কোনো এক ব্যক্তি গোপনে তার ছবিগুলো মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেছেন।

গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম বলেন, অন্য একটি মামলায় জামিন পেয়ে আসামি লিটন হাওলাদার দেখা করার জন্য থানায় আসেন। তবে তিনি অন্য একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসামি লিটন হাওলাদার নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে আমি তাকে হাজতখানায় থাকার কথা বলি।

হাজতখানায় আসামির জন্য বিছানার ব্যবস্থা ও মোবাইলে কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কে বা কারা করেছে আমার জানা নেই, কেউ এটা করে থাকলে অবশ্যই আমি খতিয়ে দেখব।

তবে মানুষ ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি আমারও হতে পারে। আর আমাদের হাজতখানার পাশেই প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের একটি কক্ষ রয়েছে। যেখানে অসুস্থ রোগীদের বিশেষ প্রয়োজনে রাখা হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, আসামি যদি অসুস্থ থাকে সেক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে রেখে পুলিশি তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়ার বিধান রয়েছে।

তাছাড়া ভেতরে মোবাইলে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেওয়া অনুসন্ধান করে দেখা হবে। থানার ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে কি ঘটনা ঘটেছে তা জানানো যাবে। আর ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/