• সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

বরিশালে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

প্রতিনিধি / ৪৮ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বরিশাল শহরের বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটার ভিড়। এই সময়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ক্রেতারা, তবে এই আনন্দের মাঝে রয়েছে কিছু অসন্তোষও।

বিশেষ করে দাম নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবুও, তারা ঈদের কেনাকাটায় নিজেদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন।

বরিশাল সহ আশপাশের জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে আজকাল ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে।

বরিশালের বিখ্যাত পার্ক মার্ট, টপটেন, চিপস বাজার এবং অন্য সকল মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানুষ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অনেকেই এখানকার মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করছেন।

এমনকি প্রবীণ এবং ছোট সদস্যদেরও সঙ্গে নিয়ে তারা বিভিন্ন পণ্য কিনছেন। পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলার বাজারগুলোতেও এই সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মব্যস্ত শহর বরিশালে এসব মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কেনাকাটার জন্য সকাল থেকেই মানুষ আসছে, আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বেড়ে যাচ্ছে।

তবে, ক্রেতারা অভিযোগ করছেন যে, কিছু পণ্যের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কিছুটা বেড়েছে, যা তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন যে, ঈদ মৌসুমে তাদের ব্যবসা অনেকটাই বাড়ছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জানান, বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পোশাক, জুতা, প্রসাধনী এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

কিন্তু কিছু ক্রেতা দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, ভারতীয় অরগেনজা, মেঘা, পাকিস্তানি সারারা, গারারা এবং শাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা কিছুটা হতাশ। ক্রেতাদের মধ্যে বাচ্চাদের পোশাক এবং কসমেটিক্সের চাহিদাও বেড়েছে।

সিনিয়র সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাচ্চু (৫২) বলেন, ঈদ আসলেই আমাদের পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এখানে আসা। পছন্দের দোকানে গিয়ে কিনতে বেশ ভালো লাগে, কিন্তু দামগুলো একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।

নাজমিন জামান মুক্তি বলেন,বাচ্চাদের জন্য এখানে কেনাকাটা করতে আসি, প্রতিবছর টপটেন ও পার্ক মার্টে কেনাকাটা করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা রেখে যখন পরিবারের সবাইকে কেনাকাটা করি, তখন ক্লান্তি হলেও মনে একটা শান্তি থাকে।

এদিকে, আসাদুজ্জামান সোহাগ নামের একজন বলেন, আমি তো শুধু প্রয়োজনের তাগিদেই কেনাকাটা করতে আসি।

তবে এখন দাম বেশিই হয়ে গেছে, আমাদের মতো নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য দামটা খুব একটা সহনীয় নয়। বিশেষ করে দুই মেয়ের জন্য ড্রেস কিনে দিয়েছি, কিন্তু স্ত্রীর জন্য এখনো কিনতে পারিনি।

এবারের ঈদে বাজারে ভারতীয় অরগেনজা, মেঘা, চান্দ্রিয়া, জয়পুরী, পাকিস্তানি সারারা ও গারারার চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব পোশাক মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।

এছাড়া কাতান, বাড়িস, কারচুপি, বালাহার, মটকা ও কাশ্মীর কাতান থ্রি-পিসেরও চাহিদা রয়েছে। শাড়ির মধ্যে বি প্লাশ খাড্ডি বেনারসি, চেন্নাই সিল্ক, বুটিক, ক্রেসপি, মান্দানি এবং জামদানি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে বেশি। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টুপি এবং প্যান্টের বিক্রি ভালোর দিকে রয়েছে। তবে বিশেষ ধরনের কসমেটিক্স পণ্যের চাহিদাও কম নয়।

মার্কেটের মালিকরা জানাচ্ছেন, ঈদ মৌসুমে পণ্যের বিক্রি বেশ বেড়েছে, কিন্তু তাদের কাছে কেনা পণ্যের দামও বেড়েছে, যা বিক্রির উপর প্রভাব ফেলছে।

তারা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে কিছু বিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন, তবে তারা বলছেন, পোশাকের কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়।

বরিশালের কোহিনূর জুতা দোকানের মালিক আজিম হোসেন বলেন, আমরা নিজেরাই জুতা তৈরি করি, ফলে আমাদের দামে আরও সাশ্রয়ী। তবে, বাটা, লোটো বা সাম্পান থেকে কিছুটা বেশি দাম লাগছে, কারণ পরিবহন খরচও বেড়েছে।

কর্মী আল আমিন হোসেন বলেন, আমরা যখন দাম বাড়িয়ে পণ্য কিনি, তখন বিক্রিও সেই অনুযায়ী করতে হয়। তবে চেষ্টা করি, সব কিছু ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার।

বরিশালের চকবাজার, হেমায়েতউদ্দিন সড়ক, সিটি মার্কেট, ফাতেমা কমপ্লেক্স সহ অনেক ছোট বড় মার্কেটগুলোতে বর্তমানে একাধিক প্রকার পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

বাচ্চাদের পোশাক, শাড়ি, থ্রি-পিস, এ্যামিটিশনারী গহনাসহ অন্যান্য প্রসাধনীর বাজারও জমজমাট। তবে, মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক ক্রেতা হতাশ।

শহরের বড় মার্কেটগুলোর মধ্যে নারীদের তুলনায় পুরুষদের ভিড় কম দেখা যাচ্ছে, তবে তরুণ-তরুণীরা বেশিরভাগ সময় শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবির দোকানে কেনাকাটা করছেন।

এখনও পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে, তবে কিছু জায়গায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েও লাভের মুখ দেখছেন।

এবারের ঈদে পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় অনেক পরিবারের বাজেট ছাড়িয়ে গেছে। পরিবহন খরচ ও পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণে তারা কোনো বিকল্প পন্থা গ্রহণ করতে পারছেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/