• মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মকর্তাকে কর্মচারীর জুতাপেটা

প্রতিনিধি / ৪৮ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মতিউর রহমান নামে দৈনিক মজুরিভিত্তিক এক কর্মচারীর বিরূদ্ধে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানাকে অফিস চলাকালীন সময়ে কক্ষে প্রবেশ করে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অর্থদপ্তরে নিজ কক্ষে বসে ছিলেন শহিদুল ইসলাম রানা। এমন সময় কোনো কথা না বলেই মতিউর রহমান ডেস্কে গিয়ে রানাকে জুতা পেটা করে বেরিয়ে যান।

জানা যায়, মতিউর রহমানের সাথে শহিদুল ইসলামের টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছে। এছাড়াও প্রতারণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমকর্তা কর্মচারীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শহিদুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে বলেও জানা যায়। এসব অভিযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শহিদুল ইসলাম রানার আপগ্রেডেশনও আটকে রেখেছেন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী (দৈনিক মজুরিভিত্তিক) মতিউর রহমান বলেন, রানা আমার কাছে থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে।

আমি টাকা পামু। টাকা তো দেয়ই না আবার আমার নামে থানায় জিডি করছে। আমি তারে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় বলে আপনিও আমার নামে জিডি করেন। দীর্ঘদিন পাওনা টাকা নিয়ে তালবাহানা করতেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, মতিউর আমাকে কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছে। তিনি আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। আমি তার বিরূদ্ধে এ নিয়ে মামলা করেছি।

আজকে অফিসে এসে আমাকে বলে আমি কেন মামলা করেছি। এ বলেই আমাকে তিনি জুতা পেটা শুরু করেন। টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাকে প্রমাণ দেখাতে বলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নাদিম মল্লিক বলেন, একজন কর্মকর্তাকে একজন কর্মচারী তার অফিসে গিয়ে এভাবে জুতাপেটা করা কোন ধরনের নিয়মের মধ্যে পড়ে আমার জানা নেই। একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমি খুবই লজ্জিত। আমি এর যথাযথ বিচার দাবি করছি।

মানহানির মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মির বিচার শুরুমানহানির মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মির বিচার শুরু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি।

তার উপর ভিত্তি করে আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি। তিনি তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কর্মচারীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশনা প্রদান করেছেন ৷ উপাচার্য এখন অসুস্থ। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলেই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/