নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালে শিশু সাফওয়ান শিকদার (৫) হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শিশুটির জানাজা নামাজের আগে গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে গ্রামে নিয়ে আসলে; বাদ আছর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে মুসল্লীরা বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রেফতার ইউপির সদস্য মোজাম্মেল ও রোমানের ঘরে আগুন দেয়। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের বাধা প্রদান করেন।
পরে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আবদুল্লাহ খানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু, তাতেও লাভ হয়নি। পরে নিহত সাফওয়ানের বাবা ও দাদা এলাকাবাসীকে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তায় অনুরোধ করলে তারা সরে যান। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, নিহতের বাবা মো.ইমরান শিকদার বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে; অজ্ঞাতনামা আরো ৯ থেকে ১০ জনকে আসামি করে শুক্রবার দুপুরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রোমান চৌধুরী, তার স্ত্রী আখি বেগম, বোন রাবিনা বেগম ওরফে লাবিনা বেগম ও মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত বুধবার দুপুরে নিখোঁজ হয় মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান সিকদারের ছেলে সাফওয়ান সিকদার। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজি পরেও তাকে না পেয়ে রাতেই গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাফওয়ানের দাদা বারেক শিকদার।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পেছনের একটি জমিতে শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়ে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই দিনই প্রতিবেশী রোমান চৌধুরী, তার স্ত্রী আঁখি বেগম, বোন রাবিনা বেগম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে আটক করা হয়।
https://slotbet.online/