নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: শিক্ষকতাকে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির পেশা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যাতে করে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরা এ পেশায় আসতে উৎসাহী হয়। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা, যা দ্বারা মেধাবী মানুষ তৈরি হয়। তাই শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার শতবর্ষী দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর ও সহকারী শিক্ষক জামাল মোহাম্মদ কবিরকে রাজকীয় আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে বিদায় সংবর্ধনা নামে সেটার বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। আসলে স্যারদের বিদায় নেই।
আগে তারা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত স্কুলে সময় ব্যয় করতেন। আজ থেকে তাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। আগে শুধু স্কুল নিয়ে ভাবতে হতো। আজ থেকে বড় পরিসরে তারা সমাজের দায়িত্ব নেবেন।
বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও স্কাউট দলের সমন্বয়ে ২ শিক্ষককে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছসহ বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক অলিউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক মিতা বেগম, আজিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন, আতিকুর রহমান, সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক জাকির হোসেন, কবি ও সাহিত্যিক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিদায়ি দুই শিক্ষক তাদের ৩৩ বছরের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষার্জনের তাগিদসহ মোবাইল আসক্তি, মাদক, ইভটিজিং বর্জনসহ নানা উপদেশমূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে ব্যান্ড বাজিয়ে ফুলের সাঝে সজ্জিত গাড়িতে করে বিদায়ি দুই শিক্ষককে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
https://slotbet.online/