• শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াত আমির-মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা বিশ্বাস করি না, এরচেয়ে সংখ্যা বেশি হবে গুরুতর ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক-বার্ন ইনস্টিটিউট হিজলায় ঠিকাদারি না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা, বন্ধ করে দিলেন ড্রেন নির্মাণ কাজ বরিশালে জামিনে মুক্তি পেলেন বাস্তুহারা দল নেতা মনির চলাচলের রাস্তায় বাউন্ডারি দেয়াল, গুটিয়ে দিলো স্থানীরা বিমানবন্দরে বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আটক বরিশালে বাস চাপায় শ্রমিক দলের কর্মী নিহত জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন: রুহুল কবীর রিজভী বরিশাল বিএনপির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল

বরিশালে সেতুতে দুই যুগ ধরে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা, ধসে পড়ার শঙ্কা!

প্রতিনিধি / ৬২ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ ও মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ামতি খালের ওপর নির্মিত সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ওঠা-নামা করতে হয় সিঁড়ি বেয়ে।

চমকে ওঠার মতো হলেও দুই যুগ ধরে এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছে নিয়ামতি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এ ছাড়াও, দু’পাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকজন চলাচলের জন্য সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে রাস্তা থেকে ৫/৬ ফুট উঁচুতে সেতুর সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে এই সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না দুই যুগ ধরে।

সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন রুপারজোর, কৃষ্ণনগর,পালপাড়া গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ নড়বড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারগুলো অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে।

ক্রস এ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ভেঙে গিয়ে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপার না থাকায় লোহার এ্যাঙ্গেলগুলোর সাথে গাছ ও কাঠের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি ঝুকিতে রয়েছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই যুগ আগে এলজিইডি এই আয়রন সেতুটি নির্মাণ করে।

তবে সেসময় সেতুর সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব উদ্যোগে সেতুর উভয় পাশে সিমেন্টের সিড়ি নির্মাণ করেন। আজও সংযোগ সড়ক হয়নি। এই ভাঙাচোরা সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: হাসনাইন হোসেন বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/