• বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫০০

প্রতিনিধি / ২১ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গভীর রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০০০ মানুষ। রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

রোববার গভীর রাতে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ সময় দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। দেশটির কর্মকর্তারা সোমবার জানান, এ ভূমিকম্পের আঘাতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না, তাই প্রশাসন আহতদের উদ্ধার ও বিমানে তোলার জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কমপক্ষে ১০০০ জন আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নাঙ্গাহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। অগভীর ভূমিকম্পের ফলে বেশি ক্ষতি হয়।

কুনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নুর গুল, সোকি, ওয়াটপুর, মানোগি এবং চাপাদরে জেলায় কমপক্ষে ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং দেশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সংযোগের কারণে জালালাবাদ একটি ব্যস্ত বাণিজ্য শহর।

ওই পৌরসভার মতে, এর জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ হলেও, এর মহানগর এলাকাটি অনেক বড় বলে মনে করা হয়। এর বেশিরভাগ ভবনই নিচু ভবন, বেশিরভাগই কংক্রিট এবং ইটের তৈরি, এবং এর বাইরের এলাকায় মাটির ইট এবং কাঠ দিয়ে তৈরি বাড়িঘর রয়েছে। অনেকগুলো নিম্নমানের নির্মাণ।

জালালাবাদে উল্লেখযোগ্য কৃষিকাজের যার মধ্যে রয়েছে লেবুজাতীয় ফল এবং ধান। কাবুল নদী এ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, এরপর এ শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত। তালেবান সরকারের অনুমান কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছে।

তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এদিকে, কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেন, বন্যা ও ভূমিকম্প-পরবর্তী ধসের কারণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ এখন কেবল আকাশপথে করা সম্ভব।

তালেবান কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে হেলিকপ্টারসহ সাহায্য চেয়েছেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/