• বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন

শার্শা উপজেলায় ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন-আসামি আটক

প্রতিনিধি / ৭২ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

মনির হোসেন, বেনাপোল: যশোরের শার্শা উপজেলায় জামাল হোসেন(৩০) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আমানতউল্লাহ (২৫) নামের আরও এক আসামিকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ। আটক আমানতউল্লাহ বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে। এর আগে এ হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীকারি জাহিদ হোসেনকে আটক করেছিলো পুলিশ।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হত্যার শিকার জামাল মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত এবং সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদককারবারীর নিকট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত।

এবং এ কাজে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো জামালের প্রতিবেশী জাহিদ। জাহিদ এই ফেনসিডিল ছিনতাই করার জন্য পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন আসামি জাহিদ ও ভিকটমি জামাল হোসেন কলারোয়া কাদপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মিন্টুর বাড়ীতে যায়। সেখান থেকে মিন্টুর মোটরসাইকেলে যোগে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে বারোপোতার দিকে যাচ্ছিল।

পথিমধ্যে গোগার ইছাপুর শফির ভাটার সামনে পৌছালে পুর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ওৎপেতে থাকা জাহিদের সহোযোগী হাফিজুল, আমানতউল্লাহ, জুম্মন, বিল্লাল ও আলাউদ্দীন সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন জাহিদের মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে জামাল মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে সেখান থেকে পালাতে চাইলে পিছনে বসা জাহিদ জামালকে কাঠের চলা দিয়ে মাথায় আঘাত করেলে জামাল হোসেন একটি গর্তে পড়ে যায়।

পরে হত্যাকারীরা হাতের কাঠের চলা, রামদা, চাকু দিয়ে জামালকে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ১১ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জৈনক শফির ভাটা সামনে থেকে শার্শা থানা পুলিশ জামাল হোসেন (২৫) এর লাশ উদ্ধার করে। সে কলারোয়া উপজেলা কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/