নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের নেছারাবাদের দৈহারী ইউনিয়নে একটি খালের ওপর প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেই সেতুই এখন মরণফাঁদ। ফলে এলজিইডি নির্মিত এ সেতুর একপ্রান্ত সড়ক বিভাগের রাস্তার ওপর থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সংযোগ সড়কের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে মই দিয়ে ওঠানামা করতে হয় দৈহারী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতুটিতে। খালটির দুই পাড়ে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩টি বাজার, সাইক্লোন শেল্টার এবং ২০টির মতো গ্রাম। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেতু।
এ রুটের দৈহারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সেতুটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় তা পুনর্নির্মাণ করে এলজিইডি। বেশ আগেই নির্মাণের কথা থাকলেও দুই বছর ফেলে রাখা হয়। অনেক গড়িমসির পর গত বছরের শেষ দিকে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।
কিন্তু সেতু হলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। তা ছাড়া পূর্বপ্রান্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার ওপর। সড়কে যান চলাচল করে। আবার সেই ব্যস্ত সড়কে রাখা মই বেয়ে সেতুতে ওঠানামা করে মানুষ। এ অবস্থায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে সেতুটি।
স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ বলেন, বছরের পর বছর আমরা শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের অভাবে এপার থেকে ওপারে যেতে পারি না। বাধ্য হয়ে মই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় পথচারীদের।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করলে সড়ক বিভাগের রাস্তাটি বিভক্ত হয়ে পড়বে। সেতুতে মই ব্যবহারের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করে তিন উপজেলার মানুষ। ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণ করেছে আমির ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড এসএস বিল্ডার্স।
https://slotbet.online/