• রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও বিক্রয় কর্মী

প্রতিনিধি / ৯৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার শিহাব উদ্দিন।

গত সোমবার (৩ মার্চ) ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে দুর্গাপুর থেকে জারিয়া-ঝানজাইল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুপারভাইজার শিহাব। এরপর থেকেই ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার সহ কোম্পানির মূল সিমকার্ড (মাদার সিম) বন্ধ করে গা ঢাকা দেন তিনি।

এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ডিস্ট্রিবিউটর ও দুর্গাপুর পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম।

বুধবার (৫ মার্চ) রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া। অভিযুক্ত সিহাব উদ্দিন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিহাব ওই প্রতিষ্ঠানের একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী হওয়ায় রকেট ব্যবসার সব দিক নিজেই পরিচালনা করতেন। ব্যবসার মূল (মাদার সিম) সিমকার্ড নং- ০১৮৬৫****৩১ সহ মোবাইল সেট তার কাছেই ছিল।

উক্ত সিমকার্ডে দুই ধাপে দেওয়া মোট ১৭ লক্ষ টাকা লোড করা অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ দুপুরে ব্যবসার মূল সিমকার্ডসহ মোবাইল সেট নিয়ে ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান শিহাব উদ্দিন। ওইদিন সন্ধ্যায় শিহাবের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলে, সে পূর্বধলা এলাকায় আছেন এবং কিছুক্ষণ পরেই রওনা দিবেন বলে জানান।

পরবর্তীতে তারাবিহ নামাজ শেষে রাতে শিহাব উদ্দিনের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে মুঠোফোনে জানায়, শিহাব উদ্দিন এখনো বাড়ি ফিরেনি।

সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান থেকে শিহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত নাম্বারসহ কোম্পানির মাদার সিমে ফোন দিলে সব নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম জানান, সিহাবের কাছে থাকা সব ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে রকেট অফিসের ১৬২১৬ হট লাইন নম্বরে ফোন করে জানতে পারি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাদার সিমকার্ডে ১৫,৫০০/- টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা নাই। ওইদিনসহ বিভিন্ন সময়ে মাদার সিম থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা উঠিয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জেনেছি, দীর্ঘদিন ধরেই জালিয়াতি মাধ্যমে টাকা গুলো অন্যত্র সরিয়ে যা আমার নজরে আসেনি, কারণ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব তার কাছেই থাকতো।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া জানান, এ ঘটনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি অভিযোগ দিয়েছেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/