• বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
হাসপাতালে নেওয়ার পর ফের মারামারি বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের আ.লীগের কর্মী আসায় দুধ দিয়ে ধোয়া হলো বিএনপি অফিস ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়’ শোকজের জবাব দিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি সেবা বরিশালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা, দুর্ঘটনার আশঙ্কা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ: প্রধান উপদেষ্টা চাঁদাবাজি মামলায় বরিশাল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ কারাগারে বরিশালে স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্র-জনতার ব্লকেড কর্মসূচি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তার জুলাই শহীদের তালিকা থেকে ৮ শহীদের নাম বাতিল

আসামিরই ‘হদিস’ নেই, দুই ওসির ঠেলাঠেলি

প্রতিনিধি / ৪৯ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: আসামিরই ‘হদিস’ মিলছে না, কিন্তু জেলার দুই থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মধ্যে সেই আসামিকে নিয়ে চলছে ঠেলাঠেলি। এমন পরিস্থিতি ঠাকুরগাঁও সদর থানা ও ভূল্লী থানার মধ্যে।

ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি মোহাম্মদ আলী নামে আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন।

অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এ নামের কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ।

ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কিন্তু শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আজ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি। ’

ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি আরিফ নামে এক ব্যক্তিকে কল করতে বলেন। আরিফকে ফোন করে, এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে কল কেটে দেন। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের এ নীরবতাও রহস্যজনক ঠেকছে জনমনে।

গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে সদর থানায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল। ’

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/