• বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

তজুমদ্দিনে কাঠের ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে ১০ হাজার মানুষের চলাচল পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবী

প্রতিনিধি / ৫৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

হেলাল উদ্দিন লিটন, তজুমদ্দিন:  ভোলার তজুমদ্দিনে শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন বেতুয়া খালের উপর বেতুয়া খালের উপর ১৩ বছর আগে নির্মিত কাঠের ব্রিজটি বর্তমানে ভেঙে নড়বড় হয়ে গেছে।

ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি দৈনিক পারাপার হচ্ছে তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এছাড়াও শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করেন।

কয়েকটি গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাঠের ব্রিজটি পাকা করার দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৫,৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাঠের ব্রিজটি।

এটি ২০২২ সালে উপজেলা পরিষদ ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে মেরামতের অভাবে ব্রিজটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯০ ফুট দীর্ঘ ও ৫ ফুট চওড়া কাঠের ব্রিজটির পাটাতনের দুই পাশসহ ভেঙে গেছে দুই পাশের কাঠের তৈরী রেলিং। ব্রিজের খুঁটি হিসেবে বাঁশ, কাঠ এবং উপরে কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কাঠের পাটাতন পচন ধরার পাশাপাশি কিছু কাঠের খুঁটি হেলে এবং ভেঙে যায়। শম্ভুপুর ইউনিয়ন বেতুয়া খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি কয়েক হাজার মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে পানিতে খালটি ভরে গেলে তখন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানান, খালটির চারপাশে ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি থাকায় ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিনই হাট বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, গবাদি পশু পারাপারসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ। তাছাড়া ব্রিজটি জড়াজীর্ণ হওয়ায় গাড়ী আসা-যাওয়া করতে না পারায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ মূল্যও পাচ্ছে না।

বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্রিজটি জনদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াতের সময় নড়ে ওঠে, মনে হয় ভেঙে পড়বে। এ অবস্থায় দ্রæত ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা তাজল, ইয়ানুর, সুমা, নোমানসহ আরো কয়েকজন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে আমাদের দৈনিক যাতায়াত, ঝুঁকি নিয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হয়। বর্ষার মৌসুমে কাঠের ব্রিজের উপরও পানি থাকে তখন ঘর বন্দি হয়ে থাকি, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজের তক্তাগুলো ভেঙে গেছে।

উপরের পাটাতনের কাঠ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। সরকারের কাছে একটি পাকাব্রিজের দাবি জানাই। জানতে চাইলে শম্ভুপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, কাঠের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ১৩বছর আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

বর্তমানে ব্রিজটির পাটাতনের কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে, এখানে নতুন একটি পাকা ব্রিজ খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, কাঠের ব্রিজটি সম্পর্কে আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্রিজটি প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/