• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

ঘূর্নিঝড় রেমালে ক্ষতি দেখিয়ে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রতিনিধি / ৬৮ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঘূর্নিঝড় রেমালে ক্ষতি দেখিয়ে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির দেখিয়ে কাজ না করে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে নিকাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীরের দেওয়াল ও পুরাতন ভবনের উপর গাছ পড়ে ভেঙে যাওয়ার ক্ষতি দেখিয়ে আবেদন দেওয়া হয়। যার মেরামত বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকার কতৃক নতুন ভবন দেয়ায় পুরাতন ভবনটি অনেক আগে থেকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে কোন কার্যক্রম পরিচালনা হয়না।

এছাড়া পুরাতন ভবনে গাছ পড়ে ক্ষতি হওয়ার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।তবে ঘূর্নিঝড় রেমালের ৮ মাস পার হলেও স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামত করেনি কতৃপক্ষ ।

প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেন ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনিতা রানীর দত্তর যোগসাজশে কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম সপ্তাহে দুই তিনদিন নামমাত্র কিছু সময়ের জন্য স্কুলে আসেন। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে আবার চলে যায়। স্কুলে পড়ালেখার কোন শৃঙ্খলা নেই।

সকল শিক্ষকেরা ১১ টার পরে স্কুলে আসেন। তাই এই এলাকার অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ থানার স্কুলে নিয়ে লেখাপড়া করান। এবং ঘূর্ণিঝড় রেমালে ভাঙা সীমানা প্রাচীরগুলো সেভাবেই পড়ে আছে। কোন মেরামতের কাজ হয়নি।

আসলাম সিকদার নামে আরেক এক বাসিন্দা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে সীমানা প্রাচীর ক্ষতি হয়েছে। তবে মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সেটা আমরা শুনিনাই। তবে কোন কাজ করা হয়নি।

আর কাজ করলে তো আমরা সবাই জানতাম।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, আমার ভাই উপসচিব এগুলো নিয়ে নিউজ হলেও আমার কিছুই হবেনা।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনিতা রানী দত্ত বলেন,সীমানা প্রাচীর ও পুরাতন ভবনের মেরামত না হলেও সরকারি নিয়ম মেনে এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে অন্য কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ. ব. ম আসাদুল আলম বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/