• বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

মির্জাগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্র পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি / ৫৭ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ, মির্জাগঞ্জ: পরীক্ষার কেন্দ্র পুনর্বহালের দাবিতে মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি কলেজ ও সুবিদখালী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
অন্যায়ভাবে সুবিদখালী সরকারি কলেজ থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে ২০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে কেন্দ্র করার প্রতিবাদে রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে সরকারি কলেজের গেটে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন এবং দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন,সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজের কেন্দ্র পরিবর্তন করে কাঠালতলী নিয়ে গেছে,এটা সম্পূর্ণই একটা ভৌতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি আমরা। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না।
 এর কারণ হলো,উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের মধ্যে কাঠালতলী পরীক্ষাকেন্দ্র অবস্থিত।  ওখানে কোন থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন ভালো না।
উপজেলা সর্বশেষ দক্ষিণ প্রান্তের ৫ নং কাকরাবুনিয়া ও ৬ নং মসজিদ বাড়িয়া ইউনিয়ন সহ চান্দখালী থেকে যে সকল শিক্ষার্থী কাঁঠালতলীতে পরীক্ষা দিতে যাবেন তাদেরকে চল্লিশ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষার নামে এরকম ভোগান্তি কাম্য নয়।
মোঃ রাব্বি মল্লিক ও সাব্বির ফরাজি সহ অনেক শিক্ষার্থী জানান,সুবিদখালী সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজ দুটিতে শুধু মির্জাগঞ্জ উপজেলা নয়, আশে পাশের পটুয়াখালী সদর ,বেতাগী,বাকেরগঞ্জ,রাঙ্গাবালি,দশমিনা,আমতলী উপজেলা থেকে এসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন। উপজেলা সদর থেকে নতুন স্থাপিত কাঠালতলী কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো নয় এবং এটি উপজেলার সর্বশেষ উত্তর প্রান্তে একটি গ্রামে অবস্থিত হওয়ায় এখানে কোন প্রকার থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা নেই।
সুবিদখালী মহিলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের (বাংলা) শিক্ষার্থী মোসাঃ জেসমিন আক্তার বলেন,উপজেলা ভিত্তিক সুবিদখালী সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজ দুটির অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, অনেক পরীক্ষার্থীর পক্ষে এত লম্বা যাত্রাপথ পাড়ি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আবার উপজেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হবার কারণে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগতে হয়।
যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমুহ বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। চার ঘন্টার পরীক্ষা শেষ হয় সন্ধ্যায়। সন্ধ্যার পরে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে আসা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মারাত্মক ঝুঁকিকর।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত কোনভাবেই আমরা এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সমর্থন করি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে পরীক্ষা কেন্দ্র পুনরায় ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলন কর্মসূচিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করে অবিলম্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত বাতিল পূর্বক পরীক্ষাকেন্দ্র উপজেলা সদরে ফেরত এনে স্বতন্ত্র কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/